কেউ আপনার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে? করতে দিন।

 আমার নিজের জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু পরামর্শ  :

প্রথমে বলে রাখছি আমি কোনো সফল ব্যক্তি বা মোটিভেশনাল স্পিকার না। তবে এই ছোট্ট জীবনে যা চেয়েছি কম বেশি সবগুলোই পূরণ করতে পেরেছি।কথাগুলোর বেশিরভাগই আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এবং সেটা সম্পূর্ণ প্রমাণিত। 

কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করবেন না। ভবিষ্যতে ওই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আপনি যে হবেন না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

কেউ-আপনার-সম্পর্কে-খারাপ-মন্তব্য করে?-করতে-দিন।

কেউ সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করুন। না পারলে কোনো পরামর্শ দিন অথবা সংক্ষেপে sorry বলুন। আর জানা শর্তেও সাহায্য করতে না চাইলে, করবেন না। সে অন্য কারো থেকে সাহায্য পাবে। কিন্তু অনুগ্রহ করে তাকে ভুল পরামর্শ দেবেন না।

রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ রাগের কারণে আপনি এমন কিছু হারাবেন যার ক্ষতিপূরণ করার সামর্থ্য আপনার  নেই। 

ক্ষমা করতে শিখুন। ক্ষমা মহৎ গুণ। এটার উপকার কতটুকু সেটা তখনই বুঝবেন যখন আপনি কাউকে ক্ষমা করবেন।

একা পথ চলতে শিখুন। অন্যের ওপর নির্ভর করে বেশিদিন টিকতে পারবেন না।

নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। 

ঋণাত্মক চিন্তা এবং অতিরিক্ত চিন্তা করা বাদ দিন। 

অন্যকে নিয়ে যতক্ষণ সমালোচনা করবেন ততক্ষণ নিজেকে নিয়ে ভাবুন। কাছে আসবে। 

কেউ আপনার সাথে কথা বলতে বা মিশতে না চাইলে তাকে ইগনোর করুন। আপনি যেদিন সফল হবেন সেদিন ওই  মানুষগুলোই আপনার সাথে কথা বলার জন্য আসবে।

প্রেম করতে গিয়ে বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনদের কষ্ট দেবেন না। যেদিন আপনি বিপদে পড়বেন সেদিন ওই আপনার জিএফ / বিএফ আপনাকে সাহায্য করবে না। আপনার আপনজনরাই করবে।

কেউ আপনার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে? করতে দিন। আর নিজের ভেতর থেকে ওই খারাপ গুণগুলোকে বের করে দিন। 

আপনার যেসব ভালো কাজ করতে ভালোলাগে সেসব করুন। কে কি বললো তাতে কান দেবেন না। ভালো কাজে বাধা আসবেই।

আপনার লক্ষ্যে অটুট থাকুন। অন্যের কথা না শুনে নিজের মনের কথা শুনুন। কারণ অন্যের কথাতে চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে সে আপনাকে তোলার জন্য আসবে না। আপনাকে নিজের থেকেই উঠতে হবে। আর সেখানে যদি আগ্রহের অভাব থাকে তবে কাজটা অসম্ভবের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।

আপনার যেটা হতে ইচ্ছে করে সেটাই হোন। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবীদ বা যেকোনো কিছু। শুধু দেখুন ওটাতে আপনার আগ্রহ আছে কি না। কারণ একজন মানুষ বেঁচে থাকতেই মৃত্যুর স্বাদ পাবে তখনই যখন ভালো না লাগা শর্তেও কোনো জব করতে হবে। মানুষ তখনই মানসিকভাবে সুখী হতে পারবে যখন তার পছন্দের জব করতে পারবে।

সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যেটা সেটা হল, নিজেকে সময় দিন। মনকে বুঝুন। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। অন্যকে সম্মান দিতে শিখুন। ইগো শব্দটা খুব খারাপ। যখন রাগ উঠবে তখন নিজেকে শান্ত করুন। একাকী থাকুন, রাগ কমে যাবে। সর্বোপরি নিজের ভালোলাগা আর নিজেকে ভালোবাসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিজের সাজানো পথে চলতে গিয়ে হোচট খেলেও উঠে দাঁড়াতে পারবেন। অন্যের দোষ দিতে হবে না। আফসোস হবে না। 


স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করুন। বাধা আসবেই। বাধাকে অতিক্রম করতে শিখুন। তবেই সুখ শব্দটার দেখা পাবেন। 


Saffa Bin Mobin