ছবিটি সংগৃহিতঃ প্রথম আলো
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মৃত আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহমানের (৩৫) বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। ৭৫ হাজার টাকা মাছটির দাম হাঁকিয়েছেন তিনি।
জেলে আবদুর রহমান ভাষ্যমতে, আজ বুধবার দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিন প্রাসাদ প্যারাডাইস পয়েন্টে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছিলাম। এ সময় কয়েক দফা চেষ্টা করে একটিও ধরতে পারিনি। হতাশ হয়ে ফেরত যাওয়ার আগে শেষবারের মতো একটি টুকরা লইট্টা মাছে দিয়ে ওই পয়েন্ট বড়শি ফেললে বিকেলের দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বড় মাছটি ওঠাতে অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেন।
তিনি আরও জানান, পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নেওয়া হয়। ৯০ কেজি ওজনের মাছটি দেখতে লোকজন ভিড় জমান ওই সময়। ৭৫ হাজার টাকা মাছের দাম চাওয়া হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের সার্ভিস ট্রলারের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সৈয়দ আলম মাছটি ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেন।
মাছটি ১ হাজার টাকা কেজি হিসেবে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা আছে জানান মাছের ক্রেতা সৈয়দ আলম। আরো জানান, শখের বশে বড় বোল মাছটি কিনে নিয়েছি। তবে গত কয়েক বছরের মধ্যে এত বড় মাছ দ্বীপে ধরা পড়েনি।
স্থানীয় সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ বলেন, ২-৩ বছর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৩৮ কেজি ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়েছিল। গত কয়েক বছরে এত বড় মাছ দ্বীপে ধরা পড়েনি। মাছটি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পারলে কমপক্ষে লাখ টাকায় বিক্রি সম্ভব হতো।
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের এক জেলের বড়শিতে ৯০ কেজি ওজনের একটি বিশাল বোল মাছ ধরার খবর শুনেছি। সাধারণত এখানে এত বড় মাছ ধরা পড়ে না। তবে শীত মৌসুমে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত বোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, সাগরের মাছ ধরার ওপর বিভিন্ন ধরনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন হওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আবার বড় মাছ জেলেদের জাল বা বড়শিতে আটকা পড়লে সবাই দেখে আনন্দ পান, তেমনি জেলেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।
.jpg)
