হে ফিভার কি, কেন হয়, কারা আছেন ঝুঁকিতে?

2 min read
হে ফিভার কি, কেন হয়, কারা আছেন ঝুঁকিতে?

অনেকে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হে ফিভারে আক্রান্ত হন। বসন্তে যখন ফুল ফোটে বিশেষ করে তখন এর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। অ্যালার্জির মাত্রা যাঁদের বেশি, তাঁদের হে ফিভারে ভোগান্তিও বেশি। এ বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হে ফিভার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

হে ফিভার কী
হে ফিভারের নাম শুনলে মনে হয় এটি একধরনের জ্বর। এটি ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’এর আরেক নাম। হে ফিভারে মূলত ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন—

    ১.নাক দিয়ে পানি পড়া
    ২. নাক বন্ধ
    ৩. হাঁচি-কাশি
    ৪. নাক ও গলা চুলকানো
    ৫. শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া বা লাল হওয়া
    ৬. ক্লান্তি ও অবসাদ
    ৭. নাকের শ্লেষ্মা গলায় চলে আসা

হে ফিভার ও কমন কোল্ড
হে ফিভার ও কমন কোল্ড দুইটি এক জিনিস নয়। দুটির কিছু সাধারণ উপসর্গ আছে, যেমন নাক দিয়ে পানি পড়া। কমন কোল্ড ভাইরাসবাহিত। হে ফিভারে কোনো ভাইরাস সংক্রমণ ছাড়াই অ্যালার্জিজনিত কারণে হয়। কমন কোল্ড সাধারণত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার এক থেকে তিন দিন পর শুরু হয় এবং কয়েক দিন পর এর প্রকোপ কমে যায়। হে ফিভার অ্যালার্জিজনিত বস্তুর সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় এবং যতক্ষণ সংস্পর্শে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর প্রকোপ থাকে।

হে ফিভার কেন হয়
হে ফিভার এটি একধরনের অ্যালার্জিক সমস্যা। যাঁদের অ্যালার্জির মাত্রা বেশি, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি বেশি দেখা যায় বছরে। পরিবেশ ও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে এটি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত রাখে পোলেন বা পরাগরেণু। পরাগায়নের সময় পরাগরেণু বাতাসে ভাসতে থাকে। কেউ পরাগরেণুর সংস্পর্শে এলে শরীরে অ্যালার্জি এবং বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি করে, যাকে বলে হে ফিভার। এ ছাড়া ধুলাবালুর কীট, পোষা কুকুর-বিড়ালের লোম, বিষ্ঠা থেকেও এ রকম অ্যালার্জি হতে পারে। এসব জিনিসের সংস্পর্শে এলে শরীর এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যা থেকে হিস্টামিন নামক রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। হিস্টামিনই শরীরে অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি করে হে ফিভার নিয়ে আসে।

হে ফিভারের ঝুঁকিতে কারা
    ১. যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা ও হাঁপানি আছে
    ২. একজিমা ও অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা
    ৩. ভাই-বোনের অ্যালার্জি থাকলে
    ৪. অ্যালার্জি হতে পারে এমন পরিবেশে থাকলে বা কাজ করলে
    ৫. ধোঁয়া, গন্ধযুক্ত ও রাসায়নিক পরিবেশের সংস্পর্শে থাকলে

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
    ১. হাঁপানি
    ২. সাইনুসাইটিস
    ৩. কানের ইনফেকশন
    ৪. শারীরিক ক্লান্তি ও অবসাদ
    ৫. ঘুমের সমস্যা

করণীয়
    ১. কি কারণে হে ফিভার যে হচ্ছে, তা চিহ্নিত করা জরুরি। 
    ২. চিহ্নিত হলে সে কারণ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। 
    ৩. এ জন্য মাস্ক পরা ভালো। নিয়মিত পানি খেতে হবে। 
    ৪. অ্যালার্জির মাত্রা বেশি হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন