গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে বৈঠক করলেন আরব নেতারা

2 min read
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে বৈঠক করলেন আরব নেতারা

গতকাল শুক্রবার আরব বিশ্বের সাতটি দেশের নেতারা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আলোচনায় বসেছিলেন। ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে উপত্যকার যুদ্ধ–পরবর্তী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রূপরেখা ঠিক করা ছিল তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে গাজা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যুদ্ধ–পরবর্তী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। গাজা জোরপূর্বক খালি করার পরিকল্পনাও রয়েছে ট্রাম্পের। তাঁর এমন পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় রিয়াদে বৈঠক করলেন আরব নেতারা।

আরব নেতারা গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁদের মতে, এ পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কয়েক দশকের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেবে। সেই সঙ্গে এটা গাজার বাসিন্দাদের অধিকারকে পদদলিত করবে। এটি সহিংসতার আঞ্চলিক চক্রকে স্থায়ী রূপ দিতে পারে।

আগামী ৪ মার্চ মিসরের কায়রোয় আরব লীগের বৈঠক হওয়ার কথা। গতকালের বৈঠকে উপস্থিত আরব নেতারা আশা প্রকাশ করেন, ওই বৈঠকে তাঁরা গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বিকল্প পরিকল্পনা হাজির করতে পারবেন।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গতকালের এ বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-সাবাহ এবং বাহরাইনের যুবরাজ সালমান বিন হামাদ আল খলিফা।

সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেউই রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। আরব দেশগুলো সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার বিশদ বিবরণে সম্মত হয়েছে কি না, সেটাও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

রিয়াদ থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক হাশেম আহেলবাররা বলেন, শুক্রবারের বৈঠক শুরু হয়েছিল গাজা পুনর্গঠনে মিসরের করা পরিকল্পনা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তিন পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

 শুধু যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায় নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এর আওতায় যুদ্ধ আপাতত থেমেছে। হামাস ও ইসরায়েল জিম্মি-বন্দিবিনিময় করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করার বিষয়টি। আর তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনের বিষয়টি রাখা হয়েছে।

আল-জাজিরার এই সংবাদিক বলেন, আরব নেতারা কায়রো বৈঠকের আগেই মিসরের পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে কাজ শুরুর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন, যাতে তাঁরা ‘আমেরিকান ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহজে বিক্রয়যোগ্য’ একটি নতুন প্রস্তাব নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন