ড্রাগ লাইসেন্স- ফার্মেসী ব্যবসার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া

ড্রাগ-লাইসেন্স- ফার্মেসী-ব্যবসার-জন্য-ড্রাগ-লাইসেন্স-করার-প্রক্রিয়া

বর্তমানে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসীর ব্যবসা একটি খুব লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি এই ব্যবসা করতে চান তবে আপনার লাইসেন্স নেওয়া দরকার। আপনি যদি ওষুধের দোকান বা ফার্মেসী খুলতে চান এবং আইনত ড্রাগের বাণিজ্য করতে চান, তবে ড্রাগের লাইসেন্স নেওয়া জরুরী। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আওতায় ওষুধ প্রশাসন থেকে ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হবে।

ড্রাগ প্রশাসন দ্বারা নির্ধারিত ফর্ম -৭ এর মাধ্যমে আপনাকে ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে এবং এর সাথে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আপনার কী কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
  • ১। ব্যাংক সমৃদ্ধির শংসাপত্র।
  • ২। লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার জন্য ট্রেজারি চালান।
  • ৩। দোকানের ভাড়া প্রাপ্তি বা চুক্তির সত্যায়িত ফটোকপি। নিজস্ব দোকান হলে দলিলের ফটোকপি।
  • ৪। ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারনামা।
  • ৫। পৌর এলাকার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের কপি। ফার্মাসিস্টের সনদের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে আপনাকে ছয় মাস মেয়াদী একটি কোর্স করতে হবে। 
প্রতি তিন মাস পর পর ঔষধ প্রশাসনের সভা হয়, যেখানে তথ্যগুলো যাচাই বাছাই সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে লাইসেন্স ফি জমা দিতে হয়। ফি পৌর এলাকার জন্য ৩,০০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরের ১,৫০০ টাকা। প্রতি দুই বছর পর পর লাইসেন্সটি নবায়ন করতে হয়। পৌর এলাকার জন্য নবায়ন ফিটি ২,০০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে এটি ১,০০০ টাকা। নতুন লাইসেন্স নিতে হলে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে যাচাই বাছাইয়ের জন্য।

আর লাইসেন্স নবায়নের জন্য পাঁচ থেকে সাত কর্ম দিবস অপেক্ষা করতে হয়। এ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। ঔষধ প্রশাসন, ১০৫-১০৬, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০। টেলিফোন: ৮৮০-২-৯৫৫৬১২৬, ৯৫৫৩৪৫৬ ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৯৫৬৮১৬৬ ই-মেইল:drugs@citech.net তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট।