একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম, লাক্সমিয়ার সন্তান না হওয়ায় সংসারে শান্তি ছিল না

একসঙ্গে-চার-সন্তানের-জন্ম-লাক্সমিয়ার-সন্তান-না-হওয়ায়-সংসারে-শান্তি-ছিল-না
ছবি: সংগৃহীত

সাত বছরের দাম্পত্য জীবনে প্রথমবারের মতো সন্তান জন্ম দিয়েছেন লাক্সমিয়া খাতুন (৩০)। একটি বা দুটি নয়, একসঙ্গে চার সন্তান এসেছে লাক্সমিয়ার কোলে। প্রসূতিসহ চার নবজাতকই সুস্থ আছেন। নতুন অতিথি আসায় পরিবারটিতে এখন ‘ঈদের চেয়ে’ বেশি খুশি বিরাজ করছে।

গতকাল সোমবার যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। চার সন্তানের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। লাক্সমিয়া যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুরা গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

গর্ভধারণের আগে থেকেই যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন লাক্সমিয়া। অস্ত্রোপচারও তিনিই করেছেন। চিকিৎসক নার্গিস আক্তার বলেন, দীর্ঘ সাত বছর লাক্সমিয়া দম্পতির সন্তান হয় না। দেড় বছর আগে তাঁর কাছে চিকিৎসার পরামর্শ নিতে আসেন তাঁরা। এই দম্পতির দুজনেরই কিছু সমস্যা ছিল। চিকিৎসার তিন মাসেই এই গৃহবধূর গর্ভে সন্তান আসে। এর দুই মাস পরেই জানতে পারেন তাঁর গর্ভে চার নবজাতক।

নার্গিস আক্তার আরও বলেন, অনেক সময় একসঙ্গে একাধিক শিশু হলে দু-একজন মারা যায়। কিন্তু এই নারীর কোনো সমস্যা হয়নি। চার নবজাতকই সুস্থ আছে। প্রত্যেকের ওজন দেড় থেকে দুই কেজি।

স্বজনেরা জানান, ২০১৪ সালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের আবদুর রহমান গাজীর ছেলে আবুল বাসারের সঙ্গে একই উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চাড়াভিটা গ্রামের ইমামুল খাঁর মেয়ে লাক্সমিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সাত বছর পার হলেও তাঁদের কোনো সন্তান হয়নি। এ নিয়ে উভয় পরিবারে হতাশা আর অশান্তি ছিল।

সন্তান না হওয়ায় আমার ভাই-ভাবির সংসারে শান্তি ছিল না, নবজাতকদের চাচা বাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন। একসঙ্গে চার সন্তান হওয়ায় আমাদের পরিবার ও ভাবির পরিবারে এখন ঈদের চেয়ে খুশি বিরাজ করছে।’