নিউরো রোগীর প্রাথমিক লক্ষণ, কারণ, প্রতিরোধ ও নিরাময়

নিউরো_রোগীর_প্রাথমিক_লক্ষণ_কারণ_প্রতিরোধ_নিরাময়

নিউরো রোগী চেনার উপায় বা সাধারণ লক্ষণ- 

একটা বড় লক্ষণ হচ্ছে, হঠাৎ করে একটা সাইড অবশ হয়ে যাওয়া। এছাড়া হটাৎ করে তীব্র মাথাব্যথা, হঠাৎ করে বমি, খিঁচুনি, চোখে না দেখা, হটাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া–এইগুলোই হচ্ছে মূলত নিউরো রোগের লক্ষণ। এই ধরণের সমস্যা দেখা দিলে, বুঝতে হবে তার ব্রেইনের সমস্যা, তাকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১ বছরে হাঁটার কথা, আট মাসে বাবা-মাকে ডাকার কথা। যখন দেখা যাবে একবছরেও হাঁটছে না, বাবা-মাকে ডাকছে না, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিশছে না, খেলাধূলায় অংশগ্রহণ করছে না, তখন বুঝতে হবে ব্রেইনে কোনো সমস্যা আছে। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকে তার বাসা চিনতে পারছে না, নিজের স্বাক্ষর ভুল করছে তখন ধরে নিতে হবে তার ব্রেইনের রোগ হয়েছে।

সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ-
যেমন: যাদের ব্লাড প্রেসার বেশিদিন অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তাদের অল্প বয়সে স্ট্রোক হতে পারে, আর যাদের ডায়াবেটিক আছে, যদি নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে তারও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার যেসব মায়েরা জর্দা খান, সাদা পাতা, পান পাতা খান, সেটা ভয়ানক ক্ষতিকর এমনকি ধূমপানের চেয়েও ক্ষতিকর। এছাড়া ইয়াবা, হিরোইন, মদপান বা যে কোনো ধরণের নেশা করলে স্ট্রোক করার ঝুঁকি থাকে।

এটা প্রতিরোধ নিরাময়-
উপরে যে কারণগুলো সেগুলো যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, নেশাদ্রব্য যদি পরিহার করা যায়, নিয়মিত যদি ব্যায়াম করা যায়, তাহলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি, কলিজা অনেক ধরণের প্রাণীর মধ্যে প্রোটিন পেয়ে থাকি। এগুলো যদি কেউ ঠিকমতো জানেন, তাহলে তার এসব সমস্যা ভালো হয়ে যাবে। নিউরোলজির অনেক রোগ নিরাময়যোগ্য। এই ধরুন মৃগী রোগ। এই রোগের কত যে সর্বাধুনিক চিকিৎসা আছে, এটা আমাদের দেশের অনেক মানুষই জানে না। অনেকে মনে করেন, এটা মনে হয় বায়ু দূষণের কারণে হয়, তারা এটার জন্য ওঝা-কবিরাজের কাছে যায়। অথচ এটা আসলে ব্রেইনের রোগ। অনেক মৃগী রোগীর ব্রেইনের ভেতরে টিউমার থাকে। সেক্ষেত্রে টিউমার অপারেশন করলে দেখা যায়, মৃগী রোগী ভালো হয়ে যায়। অনেক বাচ্চার মাথার রক্তনালীতে জন্মগত সমস্যা থাকে, সেটাও অপারেশন করলে ভালো হয়ে যায়।

তথ্যঃ- অনলাইন থেকে সংগৃহিত।