সিনহা হত্যা মামলার ষষ্ঠ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ ২৫ অক্টোবর শুরু

সিনহা-হত্যা-মামলার-ষষ্ঠ-দফায়-সাক্ষ্য-গ্রহণ-২৫-অক্টোবর-শুরু
সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ষষ্ঠ দফায় সাক্ষ্য আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর ৩ দিন সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামিদের জেরার দিন ধার্য করা হয়েছে।

মামলার পঞ্চম দফায় ৩ দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম চলে।

মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলার দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম এ তথ্য জানান ।

তিনি আরও জানান, ৫ম দফায় তিনদিনের সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ দিনে আজ ৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন রামু সেনানিবাসে কর্মরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান হাসান, র্যাবে কর্মরত পুলিশের এসআই সোহেল সিকদার, এএসআই নজরুল ইসলাম ও কনস্টেবল শুভ পাল।

আজকের ৪ জনসহ এ পর্যন্ত ৩৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে গৃহীত চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে ৮৩ জনের নাম আছে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার এম. নুরুল কবির বলেন, 'প্রতিদিন ১০ জন করে সাক্ষী উপস্থিত থাকার জন্য সমন দেওয়া হয়েছিল।'

পিপি ফরিদুল আলম জানান, সমন পাওয়া সাক্ষীদের মধ্যে প্রতিদিন ৯ জন করে সাক্ষী আদালতে হাজির ছিলন। সাক্ষীরা যথারীতি আদালতে হাজির থাকলেও আসামীদের পক্ষে সাক্ষীদের দীর্ঘ জেরার কারণে সমন দেওয়া সব সাক্ষীদের সাক্ষ্য নির্ধারিত দিনে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়।

আসামিরা হলেন— বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও মো. আয়াজ।

গত ২৩ আগস্ট সকালে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে আসামি করে চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসি বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন