এবিএম হেলাল |
সত্যবাদী, সাংস্কৃতিক-মনা, শিক্ষা অনুরাগী, প্রগতিশীল, বিনয়ী, অতিথি পরায়ন এবং জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অমায়িকতা, সাদাসিধে জীবনযাপন করা এক গুণি ব্যক্তি এবিএম হেলাল ভাই।
সালটা ছিলো ২০১৫ মিরপুরে তারই বাসার নিচে প্রফেসর ডাঃ নজরুল ইসলাম স্যারের ফার্মা প্লাস নামের সুপারশপে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। একজন প্রতিষ্ঠিত বই প্রকাশক, পাশাপাশি তিনি আপাদমস্তক একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, বঙ্গবন্ধু প্রেমী, ইতিহাস চর্চাকারী ও ভাবুক মানুষ-ই বটে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে তিনি আপোষহীন।
তাঁর বাসায় ঢুকলেই যেকেউ চমকে যাবে! রুমটা যেন একখানা জাদুঘর। বসবার ঘরে বই এর সেলফে থরে থরে সাজানো ইতিহাস, ধর্মীয় কিতাব, বিভিন্ন খ্যাত নামা লেখক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক বই। তাঁর সংগ্রহে আছে অনেক পুরনো নিদর্শন, আসবাপত্র ও যন্ত্রপাতি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক পুরাতন কিছু বই, পত্র পত্রিকা, সে সংগ্রহ বিশাল বলেই মনে হয়, ব্যাক্তি পর্যায়ে এমন সংগ্রহ সত্যিই অবিশ্বাস্য। নিখাদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক। কিছু প্রাপ্তির আশা থেকে নয়, শুধু মাত্র ভালো লাগার মোহে জাতির জনকের প্রতি তার যে ভালোবাসা আজ বড়ই বিরল।
সভ্যতা বিকাশের কয়েকটি দেশ ঘুরেও এসেছেন তিনি। আরও ঘুরবেন এমন প্রত্যয় রাখেন সবসময়। ভ্রমণপিপাসু বন্ধুপ্রেমী এই মানুষটি আমাকে আগলে রেখেছে অকৃত্রিম স্নেহ, মমতায়। আপনার এই ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি আপনার হয়ে থাকতে চাই।
সাদাসিধে জীবনযাপন করা এই মহৎ ব্যক্তিটির জীবন সর্বদা সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের কাঠুক সেই প্রত্যাশায়।
স্নেহের
বিশ্বজিৎ তালুকদার
মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।