তবে, সোমবার থেকে এ কাজ শুরু হলেও একজন চালকের লাইসেন্স পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকদিন বলছেন কর্মকর্তারা।
বিআরটিএ'র পরিচালক এবং মুখপাত্র শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বিবিসিকে বলেছেন, ইতিমধ্যে লাইসেন্স ছাপানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে।
বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ চালক।
সংস্থাটি বলছে, কারিগরি জটিলতায় তাদের লাইসেন্স ইস্যু করা যায়নি। এই চালকদের অস্থায়ী লাইসেন্স ইস্যু করে আসছিল বিআরটিএ।
সংস্থাটি বলছে, কারিগরি জটিলতায় তাদের লাইসেন্স ইস্যু করা যায়নি। এই চালকদের অস্থায়ী লাইসেন্স ইস্যু করে আসছিল বিআরটিএ।
কিন্তু অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে বিভিন্ন সময় সড়কে নাজেহাল হবার অভিযোগ করেন অনেক চালক।
চালক যেভাবে লাইসেন্স হাতে পাবেন-
বিআরটিএ বলছে, এই আবেদনের সবই পুরনো আবেদন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্থাৎ পাঁচ লাখের মত আবেদন করা হয়েছে ছয় মাস আগে।
চালক যেভাবে লাইসেন্স হাতে পাবেন-
বিআরটিএ'র পরিচালক মি. মাহবুব-ই-রব্বানী বলেছেন, লাইসেন্স ছাপা হলে আবেদনকারী চালককে এসএমএস বা মোবাইল বার্তার মাধ্যমে সংগ্রহের তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
একই সঙ্গে প্রিন্ট হওয়া লাইসেন্স কার্ড প্যাকেজিং করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা সার্কেল অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
একই সঙ্গে প্রিন্ট হওয়া লাইসেন্স কার্ড প্যাকেজিং করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা সার্কেল অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
যিনি যে অফিসে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন তিনি সেই অফিস থেকে লাইসেন্স পাবেন। কিন্তু সোমবার থেকেই লাইসেন্স হাতে পাচ্ছেন না কোন আবেদনকারী।
মি. মাহবুব-ই-রব্বানী বলেছেন, "এগুলো প্রস্তুত হয়ে বিভিন্ন জেলায় সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেটে পৌঁছাতে এবং আবেদনকারীদের হাতে দিতে তিন-চারদিন সময় তো লাগবে। তবে তিনি বলেন, "আগামী ছয় মাসের মধ্যে পেন্ডিং সব লাইসেন্স দেয়া শেষ করা যাবে।"
বাংলাদেশে বিআরটিএ'র ৫৪টি মাঠ পর্যায়ের অফিস রয়েছে, যার অধীনে মোট ৭০টি সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেট রয়েছে। এসব সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেট থেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা হবে।
লাইসেন্স দেয়া কেন আটকে ছিল ?
কারিগরি জটিলতার কারণে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে চালকদের লাইসেন্স - যা কার্যত এক ধরণের ডিজিটাইজড স্মার্ট কার্ড - দেয়া বন্ধ রয়েছে।
মি. মাহবুব-ই-রব্বানী বলেছেন, "এগুলো প্রস্তুত হয়ে বিভিন্ন জেলায় সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেটে পৌঁছাতে এবং আবেদনকারীদের হাতে দিতে তিন-চারদিন সময় তো লাগবে। তবে তিনি বলেন, "আগামী ছয় মাসের মধ্যে পেন্ডিং সব লাইসেন্স দেয়া শেষ করা যাবে।"
বাংলাদেশে বিআরটিএ'র ৫৪টি মাঠ পর্যায়ের অফিস রয়েছে, যার অধীনে মোট ৭০টি সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেট রয়েছে। এসব সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেট থেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা হবে।
লাইসেন্স দেয়া কেন আটকে ছিল ?
কারিগরি জটিলতার কারণে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে চালকদের লাইসেন্স - যা কার্যত এক ধরণের ডিজিটাইজড স্মার্ট কার্ড - দেয়া বন্ধ রয়েছে।
এর মধ্যে ১২ লাখ ৪৫ হাজার চালক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন, যারা লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
বিআরটিএ বলছে, এই আবেদনের সবই পুরনো আবেদন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্থাৎ পাঁচ লাখের মত আবেদন করা হয়েছে ছয় মাস আগে।
এর আগে দুই দফায় স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপার জন্য অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার চুক্তি করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা কাজ সম্পাদনে ব্যর্থ হয়।
সর্বশেষ ২০২১ সালের অগাস্টের শেষে সেনাবাহিনীর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিএমটিএফের সঙ্গে বিআরটিএ নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের অগাস্টের শেষে সেনাবাহিনীর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিএমটিএফের সঙ্গে বিআরটিএ নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
এরপর স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ছাপার কাজ শুরু হয়। বিএমটিএফের কারখানায় দিনে নয় হাজারের বেশি লাইসেন্স ছাপানো হচ্ছে। ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে স্মার্ট লাইসেন্স দেয়া শুরু করে বিআরটিএ।
তবে নতুন করে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করছেন, তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সময় লাগছে না বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। তাদের নির্ধারিত তারিখেই বায়োমেট্রিক দিয়ে যথাসময়ে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন লাইসেন্স ছাপানোর কাজ বিএমটিএফ করছে না। বিএমটিএফ কেবল পেন্ডিং বা আটকে থাকা লাইসেন্স ছাপিয়ে দ্রুত সরবারহের কাজ করছে।