বাংলাদেশ

খেলা

বিশ্ব

সর্বশেষ

ফিলিস্তিনের গাজায় দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি আলোচনা ঘিরে অনিশ্চয়তা

ফেব্রুয়ারী ০২, ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজায় দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি আলোচনা ঘিরে অনিশ্চয়তা

গাজায় প্রথম ধাপের ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ১৬তম দিনের আগেই দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার এ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে অস্পষ্টতার কারণে এ আলোচনা ঘিরে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশি সরকারপ্রধান হিসেবে হোয়াইট হাউস যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আজ তিনি ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হন। বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নেতানিয়াহু।

আজ দোহায় সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। কাতার যুদ্ধবিরতি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ।

শেখ মোহাম্মদ বলেন, গাজার দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কখন আলোচনা শুরু হবে, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, আলোচনার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কাতার। ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে’ কিছুটা অগ্রগতি দৃশ্যমান হতে পারে।

দীর্ঘ ১৫ মাস হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ চলার পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় প্রথম ধাপে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয় হয়। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইতিমধ্যে ইসরায়েল ও হামাস চার ধাপে বন্দী বিনিময় করেছে। এ সময়ের মধ্যে ১৮ জিম্মি ও কয়েক শ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন। শর্ত অনুযায়ী, তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। এ সময়ের মধ্যে সব জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস আর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাতে বিলম্ব করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। জ্যেষ্ঠ একটি ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বার ও অন্য জ্যেষ্ঠ আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছেন নেতানিয়াহু। তাঁদের বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিজের সামরিক সচিব রোমান গফমেনের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আলোচক দলের প্রধান হিসেবে কৌশলগত বিষয়–সম্পর্কিত মন্ত্রী রন দেরমারকে নিয়োগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন নেতানিয়াহু। তাঁর মতে, এই ধাপের আলোচনা নিরাপত্তার চেয়ে বেশি কূটনৈতিক বিষয়–সম্পর্কিত।


নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে 
আজ ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হন নেতানিয়াহু। উড়োজাহাজে ওঠার আগে তিনি বলেন, তাঁরা দুজন হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়, সব জিম্মিকে মুক্ত করে আনা এবং ইরানের সন্ত্রাসী অক্ষ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করবেন।

নিজের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প বলেছিলেন, এর আগে হোয়াইট হাউসে এত ভালো বন্ধু কখনো পায়নি ইসরায়েল। এই মেয়াদেও তিনি সম্পর্কের একই ধারা বজায় রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের অভিষেকের পর প্রথম কোনো নেতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন জানিয়ে নেতানিয়াহু আরও বলেন, বিষয়টিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মৈত্রী শক্তির স্মারক হিসেবে দেখছেন তিনি।

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে শনিবার টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। দুই নেতা গাজা যুদ্ধবিরতি জোরদারের বিষয়ে একমত হন। মিসরের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এ কথা জানিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্ত করতে মিসরের ভূমিকার গুরুত্ব নিয়ে দুই নেতা কথা বলেছেন। ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে পারবেন বলে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথাও জানিয়েছেন সিসি।

৫ ফিলিস্তিনি নিহত পশ্চিম তীরে 
দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে বড় ধরনের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। শনিবার পৃথক হামলায় সেখানে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, জেনিনের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আহমদ আল-সাদি নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়। আহত হয়েছেন দুজন। এ ছাড়া কাবাতিয়া শহরের কাছে দুজন আর মধ্য জেনিনে দুজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। ফিলিস্তিনিদের তাঁদের ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কারা বসিয়েছে প্রাণঘাতী ল্যান্ডমাইন?

জানুয়ারী ২৫, ২০২৫
মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কারা বসিয়েছে প্রাণঘাতী ল্যান্ডমাইন?

বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়িতে শুক্রবার পৃথক দুইটি ল্যান্ডমাইন বা স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন জন বাংলাদেশি আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সামরিক জান্তা বাহিনীর টানা যুদ্ধের পর সীমান্তবর্তী ওই এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে এসেছে বলে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরেও বলা হয়েছে।

এরই মধ্যে শুক্রবার স্থল মাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত হওয়ার পর নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "ওই তিনজন বাংলাদেশি অবচেতনভাবে কিংবা সচেতনভাবেই খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে সীমান্ত এলাকা পাড়ি অতিক্রম করার চেষ্টার করেছে বলেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে"।

হঠাৎ কেন একদিনেই এরকম তিনটি ঘটনা ঘটলো এ নিয়ে জানতে বিবিসি বাংলা কথা বলেছেন, স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একজন প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ানমারের অংশ সম্প্রতি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে আসার পর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য যেমন মিয়ানমারে যাচ্ছে। একই সাথে সে দেশ থেকে গরুসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে আসছে।

সাবেক ওই জনপ্রতিনিধি এটিও জানিয়েছেন যে, পণ্য আনা নেওয়ায় ওই সীমান্তের কিছু নির্দিষ্ট রুট দিয়ে অবৈধ পথে প্রবেশ করতে গেলে মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনীকে 'ঘুষ' দিতে হয়।

"অমি যতটুকু জানি অনেকেই ঘুষ না দিয়ে চোরাকারবারি করতে গিয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করেন। শুক্রবার যারা গিয়েছিলেন তারা ওই বিকল্প পথে গিয়েই মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন"।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তে স্থল মাইনের উদ্দেশ্য শত্রুকে হত্যা করা না, শত্রুকে বাধাগ্রস্ত করা। এগুলো কেউ যদি স্থাপন করেও তাহলে একটি নির্দিষ্ট আইন মেনে করতে হয়।

////সংবাদ- বিবিসি বাংলা///

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি’ ভাইরাল গানের অর্থ কি জানেন?

জানুয়ারী ২৫, ২০২৫
‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি’ ভাইরাল গানের অর্থ কি জানেন?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ওডিশি ভাষার ‘ছি ছি রে ননি’ শিরোনামের একটি গান। ভারতের পাশপাশি বাংলাদেশের শ্রোতারাও গানটিতে মজেছেন। গানের কথা বুঝতে না পারলেও সুর ও ভিডিওর দৃশ্য দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। 

এটি আসলে উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সঙ্গীত শিল্পী সত্য অধিকারীর গাওয়া এই গান। ৬ বছর আগে মুক্তি পায় এই গান। উড়িষ্যার কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা গান। এই গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো-র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ/ ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা/ মনকে চিনলি নাই/ সুনাকে চিনলি, মনাকে চিনলি/ মানুষ চিনলি নাই/ ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। এই গান এখন চারিদিকে ভাইরাল। কিন্তু কী মানে এই গানের জানেন?

সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নাই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।


তেমনই ভাবে ইদানীং ভাইরাল হয়ে গেছে একটি গান—'ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ…।’ বিশেষ করে গানের একটি পরিচ্ছদ মুখে মুখে ফিরছে— (Chi Chi Chi re Nani Bengali Lyrics)

ধন কে দেখিলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই
সুনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনিষো চিনলু নাই
ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাজে উঠি গলু
ধন আছি সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারিলু
গোটে দিনাো মিশা যগি দেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।
মুই গাঁ যাই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।
রে ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত, ইসরায়েল ও মিসরকে অস্ত্র সহায়তা ছাড়া

জানুয়ারী ২৫, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত, ইসরায়েল ও মিসরকে অস্ত্র সহায়তা ছাড়া

বিশ্বের সর্ববৃহৎ দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র সব বিদেশি সহায়তা স্থগিত করেছে। গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরে সামরিক সহায়তা এ সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক দিন পর দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি অভ্যন্তরীণ নথি বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন। ক্ষমতা গ্রহণের সময় বৈদেশিক সহায়তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধসংক্রান্ত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণের আশ্বাস দেন ট্রাম্প।

ফাঁস হওয়া ওই নথিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি নতুন ও বিদ্যমান সহায়তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব পরিপূর্ণভাবে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এগুলোর অধীন বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না।’

উন্নয়ন সহায়তা থেকে শুরু করে সামরিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তায় এ নির্দেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ নির্দেশের কারণে ভুক্তভোগী হতে পারে ইউক্রেনও। সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে।

এ নির্দেশের অর্থ এটিও যে এইডস ত্রাণবিষয়ক প্রেসিডেন্টের জরুরি পরিকল্পনা বা পিইপিএফএআরের জন্য অন্তত কয়েক মাস তহবিল বন্ধ হয়ে যাবে। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোয়, বিশেষ করে আফ্রিকায় এইডসের চিকিৎসায় ওষুধ কেনা হয়।

২০০৩ সালের জর্জ ডব্লিউ বুশ পিইপিএফএআর চালু করেছিলেন। ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে এটি সহায়তা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নথিতে উল্লেখিত নির্দেশনার আওতার বাইরে থাকবে ইসরায়েল ও মিসরে দেওয়া সামরিক সহায়তা। গাজাযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র সহায়তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা তহবিল পেয়ে আসছে মিসর।

যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি খাদ্য সহায়তাও নতুন নির্দেশনার বাইরে থাকবে। সুদান ও সিরিয়াসহ বিশ্বের সংকটাপন্ন দেশগুলোতে লম্বা সময় ধরে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা বলেছেন, পিইপিএফএআরের অধীন ওষুধ সহায়তার ওপরে দুই কোটির বেশি মানুষ নির্ভরশীল। এ ছাড়া ৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে গৃহীত ম্যালিরিয়াবিরোধী পদক্ষেপের ওপর নির্ভরশীল।

নথিতে আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে সব বৈদেশিক সহায়তা অভ্যন্তরীণভাবে পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে।

ট্রাম্প গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে এ আদেশ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

অক্সফামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রেসিডেন্ট অ্যাবি ম্যাক্সম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেটের মাত্র এক শতাংশ ব্যয় হয় মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তায়। এসব সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচায়, রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে, লাখো শিশুকে শিক্ষার আলো দেখায় ও দারিদ্র্যের হার হ্রাস করে।

অ্যাবি আরও বলেন, এসব সহায়তা প্রকল্প স্থগিত কিংবা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি সংকটাপন্ন অসংখ্য শিশু ও পরিবারের জন্য বাঁচা-মরার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার দীর্ঘদিনের ধারা থেকে সরে এসেছেন ট্রাম্প।

স্বাস্থ্য খাতে ৩২ শতাংশ পদ খালি, কম ময়মনসিংহে, বেশি সিলেটে

জানুয়ারী ২৫, ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতে ৩২ শতাংশ পদ খালি, কম ময়মনসিংহে, বেশি সিলেটে

স্বাস্থ্য খাত ব্যাপক জনবলসংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ে ৩২ শতাংশ পদ খালি। খালি পদের মোট সংখ্যা ৭৭ হাজার ৮৭৭। খালি পদের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে। এই বিভাগে ৪০ শতাংশ পদে কোনো মানুষ নেই।

স্বাস্থ্য খাতে শূন্য পদের এই তথ্য প্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য জনবল কৌশলপত্র ২০২৪’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই কৌশলপত্র তৈরি করেছে। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এই কৌশলপত্র প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যন্ত মোট ৩৩ শ্রেণির পদ আছে। এসব শ্রেণিতে মোট পদের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭১১টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৪ পদে জনবল আছে। পদ খালি আছে ৭৭ হাজার ৮৭৭টি। অর্থাৎ স্বাস্থ্য খাতে শূন্য পদ ৩২ শতাংশ।

আট বিভাগের মধ্যে শূন্য পদের হার সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে। এই বিভাগে পদ আছে ১৫ হাজার ৯৭৬টি। এর মধ্যে শূন্য পদ ৪ হাজার ২২৬টি। শূন্য পদ ২৬ শতাংশ। শূন্য পদের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে। এই বিভাগে পদ আছে ১৪ হাজার ৫৩৬টি, এর মধ্যে ৫ হাজার ৮২৭ পদে কোনো জনবল নেই। অর্থাৎ শূন্য পদ ৪০ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শ্রেণিতে শূন্য পদের হার বেশি। এটি ৬২ শতাংশ। চিকিৎসকদের পদ খালি ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ৪০ শতাংশ পদে লোক নেই।

শূন্য পদের কারণে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয় সেবা গ্রহণকারীকে, অর্থাৎ সাধারণ মানুষ বা রোগীকে। অন্যদিকে কাজের চাপ পড়ে অন্যদের ওপর অর্থাৎ যাঁরা কাজ করছেন। কৌশলপত্র বলছে, চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়তি চাপ সবচেয়ে বেশি পড়ে মেডিসিন, শিশুস্বাস্থ্য, অবেদনবিদ, স্ত্রীরোগ ও শল্যচিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের ওপর। নার্সদেরও প্রবল চাপে থাকতে হয়, নার্সিং সেবার বাইরে তাঁদের অন্য কাজও করতে হয়।

কৌশলপত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বর্ধন জং রানার বার্তা ছাপা হয়েছে- তিনি বলেছেন, প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ মিলে মোট ৪৯ জন স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল প্রয়োজন। এটিই বৈশ্বিক মানদণ্ড। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য আছে ১৩ জন চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ।

বর্ধন জং রানা আরও বলেছেন, জনবল যা আছে, তার বণ্টন ঠিকভাবে হচ্ছে না, বিভিন্ন শ্রেণির জনবলকে একসঙ্গে কাজ করানোর ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা আছে, পেশার ক্ষেত্রে উন্নতি ও অগ্রগতির সুযোগ সীমিত, অনেকের কাজের চাপ বেশি। এগুলো স্বাস্থ্য খাতের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ।

পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে বাঁচার উপায়

জানুয়ারী ০৭, ২০২৫
পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে বাঁচার উপায়

পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক আলসার মানে ঘা বা ক্ষত। এটি পাকস্থলীতে হলে তাকে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার। আর ক্ষুদ্রান্ত্রের উপরিভাগে হলে ডিওডেনাল আলসার। গলনালির নিচের প্রান্ত বা ছোট অন্ত্রের জেজুনামেও আলসার হতে পারে। একত্রে এসব আলসারকে পেপটিক আলসার বলা হয়ে থাকে।
কারণ
  • গ্যাস্ট্রিক আলসারের প্রধান কারণ ‘হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি’ নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এটি দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। পাকস্থলীতে প্রবেশ করে এ ব্যাকটেরিয়া মিউকাস মেমব্রেনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
  • ব্যথানাশক ওষুধের ঘন ঘন ব্যবহার, যেমন আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রক্সেন, এসিক্লোফেনাক, ক্লোফেনাক বা অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে বা উচ্চ মাত্রায় সেবন করলে আলসার হতে পারে।
  • নিদ্রাহীনতা, ধূমপান ও মদ্যপান, জন্মগতভাবে পরিপাকতন্ত্রের গঠনগত কাঠামো দুর্বল হওয়া, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ আলসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতিরিক্ত মসলা ও তেল-চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খেলেও ঝুঁকি বাড়ে।
উপসর্গ
  • পেটে জ্বালাপোড়া, অসহনীয় ব্যথা ও পেট ফুলে থাকা।
  • বুকে ব্যথা ও জ্বালা করা।
  • বমি ভাব বা বমি। কখনো সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।
  • মলের সঙ্গে রক্তপাত ও মলের রং খয়েরি বা কালো হওয়া।
জটিলতা
  • খাদ্য অন্ত্রে রক্তক্ষরণ।
  • রক্তশূন্যতা।
  • খাদ্যনালিতে ছিদ্র ও পেরিটোনাইটিস (পেটে সংক্রমণ)।
  • পাকস্থলী বা ক্ষুদ্রান্ত্র চিকন হয়ে যাওয়া।
  • কিছু গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে ক্যানসারও হতে পারে।
রোগনির্ণয়
আলসার নির্ণয়ে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি এন্ডোস্কোপি পরীক্ষা। এ ছাড়া ইউরিয়া শ্বাস পরীক্ষা, রক্তের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা (অ্যান্টি-এইচ পাইলোরি আইজি), স্টুল অ্যান্টিজেন, সিএলও ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।

চিকিৎসা
  • প্রথমে রোগের কারণ জানা জরুরি। যদি ব্যথানাশক ওষুধের কারণে আলসার হয়, তবে অবশ্যই ওষুধটি বন্ধ করতে হবে।
  • যদি পাকস্থলীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, তবে এইচ পাইলোরি নাশক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। যদি এইচ পাইলোরির সংক্রমণ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড নিঃসরণ রোধকারী ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। জটিলতা হলে কিছু ক্ষেত্রে সার্জারিও লাগতে পারে।
  • নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে কোন দেশের কী কী অস্ত্র আছে?

জানুয়ারী ০৪, ২০২৫
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে কোন দেশের কী কী  অস্ত্র আছে?

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ তম। সামরিক খাত নিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষণা করে, বিশ্বে সুপরিচিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রতি বছর সামরিক শক্তির বিচার করে একটি তালিকা বা ইনডেক্স প্রকাশ করে। এতে বিশ্বে ১৪৫টি দেশের সামরিক শক্তির বিচার করা হয়।

এ প্রতিষ্ঠানের তথ্যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৪০ তম, অর্থাৎ গত এক বছরে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে জানানো হয়েছিল, সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র কেনা হচ্ছে।

বিমান, ট্যাংক, সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমসহ “অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের” কথা জানানো হয়েছিল সেসময়। অস্ত্রের জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই চীনের ওপর নির্ভরশীল। তবে সম্প্রতি তুরস্কসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ত্র আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ২৮তম।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাণ্ডারে কী ধরনের সমরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে, সেসব অস্ত্র কোন কোন দেশ থেকে কেনা হয়েছে এবং অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় - সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার
যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার
বাংলাদেশের বিমানবাহিনীতে দুই ধরনের মানে আধুনিক এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার, উড়োযানের উপস্থিতি আছে বলে জানাচ্ছে সামরিক তথ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়্যারপাওয়ার বাংলাদেশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বহরে ২১২টি বিমান আছে, যেখানে যুদ্ধ বিমান রয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে চীনের নির্মিত এফ সেভেন যুদ্ধবিমান আছে ৩৬ টি। এই মডেলগুলো কিছুটা পুরনো।আর সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি আটটি মিগ-টোয়েন্টি নাইন রয়েছে বহরে।

এছাড়াও আছে ১৪ টি ইয়াক-১৩০ বিমান যেগুলো প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হলেও হালকা আক্রমণ চালানোর উপযোগী। রাশিয়া থেকে বিমানগুলো কেনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

চীনের এফটি সেভেন প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান, যুক্তরাষ্ট্রের লকহিডের দুটি সিরিজের কৌশলগত পরিবহন বিমানও আছে বাহিনীতে। বিমানবাহিনীর বহরে হেলিকপ্টার রয়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে রাশিয়ার এমআই সিরিজের ৩৬টি হেলিকপ্টার আছে। সাথে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত সেসনা, বেলের বিভিন্ন মডেলের হেলিকপ্টার আছে ২৪ টি।

এর পাশাপাশি ফ্রান্স, ইতালি, চেকোস্লোভাকিয়া (চেক রিপাবলিক) থেকে কেনা কিছু প্রশিক্ষণ বিমান ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে ড্রোন
ড্রোন
আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ড্রোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে ৪৪ টি ড্রোন রয়েছে বলে জানাচ্ছে ওয়্যারপাওয়ার বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩৬ টিই স্লোভেনিয়ায় নির্মিত ব্রামর সি ফোর আই। তুরস্কের তৈরি বায়রাক্টার টিবি টু আছে ছয়টি। গত বছরই এগুলো যুক্ত হয়। তবে ২০২২ সালে প্রথমবারের মত সামরিক অস্ত্র বহনে ও হামলায় সক্ষম ড্রোন কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ড্রোনের পাশাপাশি তুরস্ক থেকে কামানের গোলা, রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সাঁজোয়া যান, মাইন থেকে সুরক্ষাকারী যানও কিনেছে বাংলাদেশ।

এদিকে, তুরস্কের বায়রাক্টার ছাড়াও ইতালির সিলক্স ফ্যালকো সিরিজের দুটি ড্রোনও আছে বাংলাদেশের বহরে।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ
সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সাবমেরিন রয়েছে দু’টি। দুটিই চীনের তৈরি এবং ২০১৭ সালে এগুলো নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। ওয়্যারপাওয়ার বাংলাদেশে এই সাবমেরিনগুলোকে 'অ্যাটাক সাবমেরিন' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলোতে আক্রমণের জন্য টর্পেডোর পাশাপাশি নৌ মাইনও ব্যবহার করা যায়।

এছাড়া, গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার অনুযায়ী, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে নৌযান রয়েছে ১১৭ টি। এর মধ্যে সাতটি ফ্রিগেট বা রণতরী আছে বাংলাদেশের। সাথে আরো আছে ছয়টি কর্ভেট যুদ্ধজাহাজ।

ফ্রিগেটগুলোর চারটির নির্মাতা চীন, দুইটির যুক্তরাষ্ট্র আর একটি দক্ষিণ কোরিয়ার। কর্ভেট জাহাজগুলোর মধ্যে চারটি চীনের, দুটি যুক্তরাজ্যের।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে ট্যাংক, কামান এবং মাল্টিপল রকেট লঞ্চার
ট্যাংক, কামান এবং মাল্টিপল রকেট লঞ্চার
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে রয়েছে ৩২০টি ট্যাঙ্ক। ওয়্যার পাওয়ার বাংলাদেশ থেকে জানা যাচ্ছে এর মধ্যে অন্তত ২৮১ টি চীনের তৈরি। সবচেয়ে বেশি আছে টাইপ ফিফটি নাইন দুর্জয় ট্যাংক। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চীন থেকে কিট (সরঞ্জাম) এনে ট্যাংকগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

এছাড়া আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার বা এপিসি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্কে তৈরি এপিসি ব্যবহার করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এছাড়া বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে ৪৬৪টি কামান রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে ২৭টি। বাংলাদেশের অ্যান্টি এয়ার ক্রাফট গান বা বিমান বিধ্বংসী কামানের উৎস দুটি দেশ।

এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের একটি এবং চীনের চারটি সিরিজের কামান রয়েছে। আর ওয়্যারপাওয়ার বাংলাদেশ-এর তথ্য বলছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম (এমএলআরএস) আছে ৭৭টি।

এর মধ্যে চীনের তৈরি ৪৯ টি এবং তুরস্কের দুই ধরনের মোট ২৮ টি এমএলআরএস রয়েছে তাদের ভাণ্ডারে।

মাল্টিপল রকেট লঞ্চার বা মোবাইল রকেট প্রজেক্টর হচ্ছে এমন একটি স্বয়ংক্রিয় সামরিক অস্ত্র, যা দিয়ে এক সাথে কয়েকটি রকেট বা বোমা নিক্ষেপ করা যায়।

সমরাস্ত্র কারখানার রাইফেল ও গোলাবারুদ
সমরাস্ত্র কারখানার রাইফেল ও গোলাবারুদ
পাকিস্তান পর্বে ১৯৬৭ সালে চীনের সহায়তায় ঢাকার অদূরে গাজীপুরে একটি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বা সমরাস্ত্র কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৭০ সালে সেটি উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, "১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কারণে নির্মাণকাজ ব্যাহত হয় এবং চীনা দল কারখানা ত্যাগ করে।" ১৯৭৫ সালের ৩১শে অগাস্ট চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

তারপরের বছর চীনা কারিগরি দল কারখানাটিকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং আরো এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৭ সাল থেকে কারখানাটি নিয়মিত উৎপাদনের জন্য চালু হয়। সমরাস্ত্র কারখানা অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দুটিই তৈরি হয় এই ফ্যাক্টরিতে। "স্মল আর্মস এবং রাইফেল সমরাস্ত্র কারখানায় তৈরি হয়,"।

সেনাবাহিনীর প্রধান বা বহুল ব্যবহৃত অস্ত্র এই রাইফেল। এসবের কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।


////সূত্রঃ- বিবিসি বাংলা////

আমিরাতে শীতের মধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত

জানুয়ারী ০৪, ২০২৫
আমিরাতে শীতের মধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত

চলতি বছরের শীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তীব্র শীত পড়েছে। এর মধ্যেই শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) আমিরাতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।-খবর গালফ নিউজ।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটেরোলজি জানিয়েছে, রাজধানী আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, ফুজাইরাহ, রাস আল খাইমা ও উম্মুল কোয়াইনের বিভিন্ন এলাকায় বর্ষণ হয়েছে। তবে আজমান এমিরেতে এখনো কোনো বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি।

আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে দুবাইয়ের আল খাইল রোড, শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ রোড, জুমেরিয়া, আল সাফা ও আল জাদাফসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবুধাবির ঘানাদাহ অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। শারজাহর আল ধাইদ, ফুজাইরাহর আল মাদাম ও উম আল কুয়াইনের আল রাওদা অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে কুয়াশার প্রভাব দেখা দেওয়ায় রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হয়ে গেছে এবং দৃশ্যমানতা কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি গাড়িচালকদের ধীরগতিতে গাড়ি চালানোর এবং বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার দিনব্যাপী থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতির আশা করা হচ্ছে।
 
স্বত্ব © ২০২৫ রোদেলা বিকেল 24 | অনলাইন সংবাদপত্র (পত্রিকা). যোগাযোগ রোদেলা বিকেল 24